অবরুদ্ধ
ঝড়ের গতিতে, গাড়ি চালিয়ে তারপর প্রায় রুদ্ধশ্বাসে দৌড়ে তিন তলায় ফ্ল্যাটের দরজায় পৌঁছে বেদম হয়ে পড়ল ময়াঙ্ক, আর পারছে না সে! যদিও পারতে তাকে হবেই; এই পারা না পারার মাঝে অবরুদ্ধ তার ভালোবাসা আর নতুন বাবা হবার আনন্দ।
ঝড়ের গতিতে, গাড়ি চালিয়ে তারপর প্রায় রুদ্ধশ্বাসে দৌড়ে তিন তলায় ফ্ল্যাটের দরজায় পৌঁছে বেদম হয়ে পড়ল ময়াঙ্ক, আর পারছে না সে! যদিও পারতে তাকে হবেই; এই পারা না পারার মাঝে অবরুদ্ধ তার ভালোবাসা আর নতুন বাবা হবার আনন্দ।
কবিতার মধ্য দিয়ে কবি বুঝিয়েছেন অবসাধগ্রস্ত মনের দোলাচল, নিঃস্পৃহত্য আর বদ্ধ পিঞ্জর হতে নিষ্কৃতি পাবার ইচ্ছা'কে।
একটা বয়সে এসে একজন বিশেষ বন্ধুর বড় প্রয়োজন হয়ে পড়ে, এমন কত কামনা বাসনা আছে, মানসিক যন্ত্রণা বা অভাববোধ, ইচ্ছে - অনিচ্ছে যা বাড়ির কারো কাছে ব্যক্ত করা যায়না কিম্বা বন্ধু বান্ধবীদের কাছে বল্লেও হয়তো হাসির পাত্রী হতে হয়। তাই জীবনে সব থেকেও সেই বিশেষ বন্ধুটির অভাব বড় প্রকট হয়ে পড়ে, জীবনের পাকদণ্ডি বাইতে বাইতে।
মাস আষ্টেক হলো কলকাতায় এসেছে গার্গী। প্রথমে সে পুরোনো কলকাতায় স্থিত শ্বশুর বাড়িতেই উঠেছিলো! কিন্তু, সেই বিয়ের পর যে ঝামেলাটা সহ্য করতে না পেরে তার বাইরে পোস্টিং নিয়ে চলে যাওয়া, ঠিক সেই একই ঝামেলার পুনরাবৃত্তি শুরু হয়েছিলো মাস দুয়েক শ্বশুর বাড়ি থেকে অফিস যাতায়াত করার সময়।সর্ব প্রথম শুরু করলেন, কাকা শ্বশুর তারপর যথাক্রমে নিজের শাশুড়ি ও বাড়ির অন্যান্য বয়স্ক সদস্যরা;কী না বাড়ির বউ, চাকরী করছে তা করুক, এখন সবাই করে! তাতে আপত্তি নেই, যদিও বাসু বংশের মেয়েদের নাকি মাটিতে পা ফেলা বারণ সেই আদি যুগ হতেই! কিন্তু, সে তো এই বংশের পুত্রবধু! তো সে এসব না মানতেই পারে কিন্তু তাই বলে; হুটপাট বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাওয়া বা রাত বিরেতে বাড়ির বাইরে কাটানো, অসময়ে অফিস থেকে ফেরা, ইত্যাদি ইত্যাদি। এই এক ঝামেলা একান্নবর্তী পরিবারে!
Love is a grave of fire